রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে তদারকি অভিযান পরিচালনা করা সহ খুলনার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরকে সাথে নিয়ে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির ফেব্রুয়ারি মাসের সভায় তিনি এসব কথা জানান।
জেলা প্রশাসকের মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন সভায় জানান, বিগত মাসে খুলনা জেলা পুলিশের অধিক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া তিনটি হত্যাকান্ড পরিবারিক কারণে হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হচ্ছে। সবকয়টি ক্ষেত্রে আসামী গ্রেপ্তার রয়েছে। অনলাইন জুয়ার বিস্তার বন্ধে পুলিশী অভিযানের সাথে নাগরিক সচেতনতা জরুরি। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই এখন পুলিশের জন্য প্রথম অগ্রাধিকার। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মোহাঃ আহসান হাবীব জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে মেট্রোপলিটন পুলিশের তদারকি বৃদ্ধি করা হচেছ। সম্প্রতি মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে এবং বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আটক করা হয়েছে। অপরাধ দমনে নিয়মিত প্যাট্রলিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, কাঠ পুড়িয়ে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা তৈরির ব্যবসা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। সুন্দরবনে দস্যুতা, আটক করে মুক্তিপণ আদায়, বিষ দিয়ে মাছধরা বন্ধে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশ বাহিনীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে করণীয় বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ে গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন বৈঠক করতে পারে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট দীপংকর দাশ সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। খুলনা জেলায় জানুয়ারি মাসে রাহাজানি ১টি, চুরি ৬টি, খুন ৩টি, ধর্ষণ ৪টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ২টি, মাদকদ্রব্য বিষয়ক ৪১টি এবং অন্যান্য ৪৬টিসহ মোট ১০৩টি মামলা হয়েছে যা বিগত মাসের চেয়ে আটটি কম। মহানগরে জানুয়ারি মাসে ডাকাতি ২টি, চুরি ১৪টি, খুন ২টি, অস্ত্র আইনে ৪টি, দ্রুত বিচার ৩টি, ধর্ষণ ৫টি, অপহরণ ২টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৪টি, মাদকদ্রব্য বিষয়ক ৮৩টি এবং অন্যান্য ৪৯টিসহ মোট ১৭৮টি মামলা হয়েছে যা বিগত মাসের চেয়ে ৩১টি বেশি।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-সহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ